বৃহঃস্পতিবার, ১লা মে ২০২৫, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের মহান মে দিবস আজ
  • উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান: সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে
  • ভারতকে রুখতে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন ইমরান খান
  • সকল নাগরিকদের জন্য আসলো বড় সুখবর
  • অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন সামান্থা রুথ প্রভু
  • পাকিস্তানের ধাওয়া খেয়ে পিছু হটল ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমান
  • ‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
  • শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন তিন চিকিৎসক
  • বাড়িতে ঢুকে মা-বাবাকে মারধর করে মেয়েকে অপহরণ, গ্রেপ্তার ১
  • পাকিস্তানে ভারত-প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসী আটক, উদ্ধার ড্রোন ও বিস্ফোরক

ঘোড়ার মাংস বিক্রি,  তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা 

তছলিমুর রহমান, লক্ষ্মীপুর 

প্রকাশিত:
১৫ জুন ২০২৩, ২০:৩৬

লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের ঝুমুর হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে গরুর মাংস বলে ঘোড়ার মাংস বিক্রির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এতে হোটেল মালিক মো. সবুজ, হোটেলের ম্যানেজার মো. রিয়াজ এবং মাংস সরবরাহকারী মো. চৌধুরী ওরফে শাহ আলমকে আসামি করা হয়।
মামলার পর আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে নাজির ইয়াসিন আরাফাত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, খাবার হোটেলে গরুর মাংস বলে ঘোড়ার মাংস বিক্রি করে কর্তৃপক্ষ প্রতারণা করে আসছে বলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন আবদুল কাদের নামে এক ব্যক্তি। পরে এ ঘটনায় আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক তারেক আজিজ আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করার জন্য সদর মডেল থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার বাদী আবদুল কাদের লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের সফি মিয়ার ছেলে।
আদালত সূত্র জানায়, বাদী আবদুল কাদের জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন কাজে নিজ বাড়ি থেকে লক্ষ্মীপুর শহরে আসা-যাওয়া করেন। এতে অধিকাংশ সময় দুপুরের খাবার হোটেলে খেতে হয়। গত ১৭ মে তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এলাকার ঝুমুর হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে যান। তখন হোটেল কর্মচারীরা ভালো গরুর মাংস আছে বলে জানান। সরল বিশ্বাসে বাদী গরুর মাংস অর্ডার করেন। কিন্তু খাওয়ার সময় তার সন্দেহ হয়। এ ঘটনায় তিনি মামলার আসামি সবুজ ও রিয়াজের কাছে মাংসের বিষয়ে জানতে চান। কিন্তু তারা জানান, হোটেলে গরুর মাংসই বিক্রি হয়। সকালে কিনে এনে তাজা গরুর মাংস রান্না করা হয়।
এদিকে, দুইদিন পর গণমাধ্যমে ঝুমুর হোটেলে ঘোড়ার মাংস বিক্রি করা হয় বলে সংবাদ পরিবেশন হয়। সংবাদটি আবদুল কাদেরের নজরে পড়ে। এতে জানতে পারেন, কসাই চৌধুরীর কাছ থেকে ঘোড়ার মাংস এনে ঝুমুর হোটেলে বিক্রি করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ হোটেল মালিক সবুজ ও কসাই চৌধুরীকে আটক করে। এতে তদন্ত করে ঘটনাটি সত্য প্রমাণ হয়েছে বলে এজাহারে দাবি করেছেন বাদী।
এজাহারে আরো বলা হয়, এটি প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতা। হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে হোটেল কর্তৃপক্ষ প্রতারণা করে আসছে। এজন্য আবদুল কাদের বাদী হয়ে বুধবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বলেন, মামলার বিষয়টি আমার জানা নেই। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার নির্দেশনা এখনো আমাদের হাতে আসেনি। নির্দেশনার চিঠি পেলেই আসামিদের গ্রেপ্তার করে যথাসময়ে আদালতে সৌপর্দ করা হবে। এর আগে দুইজনকে আটকের বিষয়ে ওসি বলেন, খবর পেয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক করা হয়েছিল। তবে পরে মামলা দেওয়ার জন্য কোনো অভিযোগকারী বা সাক্ষী না থাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
 

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর