বৃহঃস্পতিবার, ১লা মে ২০২৫, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের মহান মে দিবস আজ
  • উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান: সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে
  • ভারতকে রুখতে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন ইমরান খান
  • সকল নাগরিকদের জন্য আসলো বড় সুখবর
  • অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন সামান্থা রুথ প্রভু
  • পাকিস্তানের ধাওয়া খেয়ে পিছু হটল ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমান
  • ‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
  • শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন তিন চিকিৎসক
  • বাড়িতে ঢুকে মা-বাবাকে মারধর করে মেয়েকে অপহরণ, গ্রেপ্তার ১
  • পাকিস্তানে ভারত-প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসী আটক, উদ্ধার ড্রোন ও বিস্ফোরক

বিএনপির চক্রান্ত শেষ হয়নি, নির্বাচন বাতিলের চেষ্টা চলছে: প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক রির্পোট

প্রকাশিত:
১৬ জানুয়ারী ২০২৪, ১৩:২৫

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক হয়েছে। হারার ভয়ে বিএনপি নির্বাচনে করেনি। তাদের চক্রান্ত শেষ হয়নি, নির্বাচন বাতিলের চেষ্টা চলছে।

মঙ্গলবার সকালে গণভবনে প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সৌজন্য সাক্ষাতে ২৯ দেশের প্রবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামসহ যে কোনো আন্দোলনে প্রবাসীদের অবদান আছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের আয়ের বড় উৎস। দেশে গণতন্ত্রের ক্ষেত্রেও প্রবাসীদের অনেক অবদান আছে।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রবাসীরা আমাদের স্বাধীনতা-সংগ্রামে, যে কোনো আন্দোলনে অবদান রেখেছেন। যখন বাংলাদেশে মার্শাল ল জারি হয়, আমরা যখন কাজ করতে পারি না, তখন প্রবাসীরা প্রতিবাদ জানান। আপনারা আন্দোলন-সংগ্রাম করেন। জনমত সৃষ্টি করেন। এটা আমাদের জন্য বিরাট শক্তি।

সরকারপ্রধান বলেন, আমরা ফিলিস্তিনের গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছি। আমরা যুদ্ধ চাই না। বাংলাদেশ সবসময় শান্তির পক্ষে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ না থাকলে উন্নতি হয় না। শান্তি দিতে পারে উন্নতি। অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করে সেই টাকা মানবকল্যাণে ব্যয় করা হোক। অস্ত্র প্রতিযোগিতার মতো জঘন্য কাজ নেই।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি নিজেদের অফিসে নিজেরাই তালা দেয়, নিজেরাই তালা ভাঙে। তারা যত বেশি সন্ত্রাসী কাজ করবে, মানুষ তাদের তত প্রত্যাখ্যান করবে। তারা নির্বাচন নষ্ট করার জন্য চেষ্টা করেছিল, কিন্তু পারেনি। এখনও তাদের চক্রান্ত শেষ হয়নি। নির্বাচন বাতিলের চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে, সরকার জনগণের সেবক। আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, সেবক হিসেবে কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে এসেছি। টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকায় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। মানুষ এখন ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি লিফলেট বিতরণ করেছে, মানুষ যেন ভোট না দেয়। কিন্তু ঘটনা উল্টো ঘটল। মানুষ ধরে নিল ভোট দিতেই হবে। একটা সুষ্ঠু নির্বাচনে তারা ভোট দিয়েছে।

বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, অন্ধকার পথে বিএনপি। তারা আলো ঝলমল নির্বাচন বাদ দিয়ে অন্ধকারের গলিপথ খুঁজে। তারা জানে, মানুষ হত্যা, অগ্নিসংযোগ। এর চেয়ে ভালো কিছু জানা নেই। তবে ভোটে জনগণের বিজয় হয়েছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মামলার বিবরণ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি আমার ছেলের বউ ও মেয়ের কাছে ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দিয়েছে। আমি তাদের কাছে মাফ চেয়ে রওয়ানা করেছি মামলা ফেস করতে। আসতেও বাধা দিয়েছে। আমাকে হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ফেরত দেয়। সেটি বিশ্বের ১৫৬ পত্রিকায় প্রকাশ হয়। যার কারণে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহযোগিতা পেয়েছিলাম। ওই সময়ে প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতারা আমার পাশে ছিলেন। আপনাদের অবদান গণতন্ত্রের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, অনেক ঘাত প্রতিঘাত চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। দেশকে নিয়ে নানা কর্মসূচি করা শুরু করেছিলাম। অথচ ষড়যন্ত্র করে আমাদের ক্ষমতায় আসতে দেয়নি। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসে। চলে আসে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর অকথ্য নির্যাতন।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর