বৃহঃস্পতিবার, ১লা মে ২০২৫, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • এক ভূখণ্ড, দুই রাষ্ট্র, অগণিত কান্নার উপত্যকা
  • শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের মহান মে দিবস আজ
  • উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান: সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে
  • ভারতকে রুখতে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন ইমরান খান
  • সকল নাগরিকদের জন্য আসলো বড় সুখবর
  • অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন সামান্থা রুথ প্রভু
  • পাকিস্তানের ধাওয়া খেয়ে পিছু হটল ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমান
  • ‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
  • শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন তিন চিকিৎসক
  • বাড়িতে ঢুকে মা-বাবাকে মারধর করে মেয়েকে অপহরণ, গ্রেপ্তার ১

কুমিল্লায় দিনমজুর হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড, অপরজনের যাবজ্জীবন

ডেস্ক রির্পোট

প্রকাশিত:
১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১৭:৫২

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আমানগন্ডা এলাকার দিনমজুর জাহাঙ্গীর হোসেনকে হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপরজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দুজনকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায় আরও ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক ফরিদা ইয়াসমিন এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন সুনামগঞ্জের শ্যামনগর গ্রামের মো. লিটন (২৬) এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা গ্রামের আবদুস সোবহান ওরফে তুফান মিয়া (৫০)। রায় ঘোষণার সময় মো. আবদুস সোবহান আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। তবে মো. লিটন মিয়া পলাতক।


মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, পূর্বশত্রুতার জেরে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই দিনমজুর জাহাঙ্গীর হোসেনকে (৫৫) আমানগন্ডা এলাকায় টিনশেড ঘরে কোদাল ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন নিহত জাহাঙ্গীরের শ্যালক চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আগানগন্ডা গ্রামের মো. ফুল মিয়া বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় মো. লিটনকে আসামি করা হয়। মামলার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুলতান উদ্দিন তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে একই বছরের ৯ আগস্ট মো. লিটন মিয়াকে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করেন। পরে লিটন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তিনি হত্যাকাণ্ডে আবদুস সোবহানের জড়িত থাকার কথা জানান। পরে মো. আবদুস সোবহানকেও গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৩ সালের ২৩ জানুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। ২০১৪ সালের ৩ মার্চ মো. লিটন ও আবদুস সোবহানের নামে অভিযোগপত্র গঠন করা হয়। পরবর্তী সময়ে ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রামাণ ও শুনানি শেষে আদালত এ রায় দেন।


মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. জসিম উদ্দিন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আশাবাদী, শিগগিরই এ রায় কার্যকর হবে।’

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর