বৃহঃস্পতিবার, ১লা মে ২০২৫, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের মহান মে দিবস আজ
  • উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান: সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে
  • ভারতকে রুখতে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন ইমরান খান
  • সকল নাগরিকদের জন্য আসলো বড় সুখবর
  • অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন সামান্থা রুথ প্রভু
  • পাকিস্তানের ধাওয়া খেয়ে পিছু হটল ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমান
  • ‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
  • শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন তিন চিকিৎসক
  • বাড়িতে ঢুকে মা-বাবাকে মারধর করে মেয়েকে অপহরণ, গ্রেপ্তার ১
  • পাকিস্তানে ভারত-প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসী আটক, উদ্ধার ড্রোন ও বিস্ফোরক

সকালে অপহরণ, রাতে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেলেন ১০ জন

ডেস্ক রির্পোট

প্রকাশিত:
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৪

কক্সবাজার টেকনাফের হোয়াইক্যং রৈক্ষ্যং পাহাড়ে গরু চরাতে গিয়ে অপহরণের শিকার হওয়া শিশুসহ ১০ ভিকটিমকে মুক্তিপণ পেয়ে ছেড়ে দিল পাহাড়ে থাকা অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা।

 

 ২৭ মার্চ বুধবার রাতে ২ লাখ টাকার বিনিময়ে তাদের মুক্তি দেওয়া হয় বলে জানান তাদের স্বজনরা।

ফেরত আসা ভিকটিমরা হলেন— হোয়াইক্যং ইউনিয়নের করাচিপাড়া এলাকার বেলালের দুই ছেলে জুনাইদ (১২) ও মোহাম্মদ নুর (১০), একই এলাকার লেদুর ছেলে শাকিল (১৫), শহর আলীর ছেলে ফরিদ আলম (৩৫), নুরুল ইসলামের ছেলে আকতার (২৫), নাজির হোসেনের ছেলে ইসমাইল প্রকাশ সোনাইয়া (২৪) ও হোয়াইক্যং রৈক্ষ্যং এলাকার আলী আকবর এর ছেলে ছৈয়দ হোছাইন বাবুল (২৬), কালা মিয়ার ছেলে ফজল কাদেরসহ (৪০) আরো ২ জন।

বুধবার ২৭ মার্চ রাতে টেকনাফের হোয়াইক্যং রৈক্ষ্যং এলাকার ২২ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পশ্চিমে পাহাড় থেকে তাদের ফেরত দেওয়া হয়।

ভিকটিম শাকিলের বাবা লেদু মিয়া জানান, রাতে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছেলে ফেরত দিয়েছে অপহরণকারীরা। তবে আমাদের পরিবার দিনমজুর হওয়ায় টাকা জোগাড় করতে অনেক কষ্ট হয়েছে। ছেলের সঙ্গে অপহৃত অপরাপর সবাই মুক্তিপণ দিয়ে ফিরেছে।

কাঞ্জরপাড়া এলাকার গ্রামপুলিশ শেখ কবির বলেন, প্রতিদিনের মতো সকালে তারা পাহাড়ে তাদের কাজ করতে যায়। পরে অপহরণকারীরা পাহাড় থেকে এসে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১০ জনকে নিয়ে যায় বলে শুনেছি। তাদের আস্তানায় পৌঁছার পরে ভিকটিমদের প্রত্যেকের পরিবারে মোবাইল করে মুক্তিপণ দাবি করে খবর পাঠান। পরে রাতে মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত আসেন সবাই।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, হ্নীলা হোয়াইক্যং এলাকার মানুষ বেশিরভাগ পাহাড়ে চাষাবাদ করে তাদের জীবন সংসার চালায়। তারা যদি চাষাবাদ বা গরু দেখতে গেলে অপহরণ হয়ে যায়; তা হলে মানুষ কি করে বাঁচবে। অপহরণকারীদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শাহাদাত জানান, উদ্ধার ভিকটিমদের স্বীকারোক্তিমতে অপহরণকারীদের শনাক্ত ও আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর