বৃহঃস্পতিবার, ১লা মে ২০২৫, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • এক ভূখণ্ড, দুই রাষ্ট্র, অগণিত কান্নার উপত্যকা
  • শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের মহান মে দিবস আজ
  • উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান: সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে
  • ভারতকে রুখতে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন ইমরান খান
  • সকল নাগরিকদের জন্য আসলো বড় সুখবর
  • অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন সামান্থা রুথ প্রভু
  • পাকিস্তানের ধাওয়া খেয়ে পিছু হটল ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমান
  • ‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
  • শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন তিন চিকিৎসক
  • বাড়িতে ঢুকে মা-বাবাকে মারধর করে মেয়েকে অপহরণ, গ্রেপ্তার ১

দুদক চেয়ারম্যান:

দুদকে যারা চাকরি করে, তারা ভিন্ন গ্রহ থেকে আসেনি

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
২৫ মে ২০২৪, ১৭:৪৮

টাকা পাচারের অপরাধে প্রণীত মানি লন্ডারিং আইনের ২৯ টি ধারার মধ্যে মাত্র একটি ধারায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ব্যবস্থা নিতে পারে। বাকি ২৮ টি ধারায় অপরাধ সংগঠিত হলেও দুদকের কিছুই করার নেই।

শনিবার (২৫ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘দুর্নীতি দমনে নাগরিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আব্দুল্লাহ এসব কথা বলেন।

হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘মানি লন্ডারিং যে অপরাধ বাংলাদেশে আছে, এর ২৯ টি অপরাধের মধ্যে শুধু একটিমাত্র ধারার অপরাধ দুর্নীতি দমন কমিশনের দেখার দায়িত্ব। বাকি ২৮ টি অপরাধ হলেও দুর্নীতি দমন কমিশনের কিছুই করার নেই। মানিলন্ডারিং হলেই দুর্নীতি দমন কমিশন কিছুই করতে পারবে না। সরকারি কর্মচারী যদি মানিলন্ডারিং করে, তাহলে সেটা দেখতে পারে। বাকি ক্ষেত্রে যে মানিলন্ডারিং হচ্ছে, সেটার দায়িত্ব দেখার দায়িত্ব দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে সুযোগ তেমন একটা নাই'।

তিনি বলেন, সাধারণ লোকজন যেসব দপ্তরে যায়, সেখানকার দুর্নীতি প্রকাশ পায়। কিন্তু যেসব প্রতিষ্ঠানে সাধারণ মানুষের যাতায়াত নেই, সেসব প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির বিষয়ে কেউ জানেও না এবং মিডিয়াতেও দেখি না।

কারো নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, কিছু প্রতিষ্ঠান আছে সেখানে উইন উইন সিচুয়েশনে দুর্নীতি হয়। সেখানে নিজে দশ কোটি টাকা লাভ করবে, সরকারের কর্মচারী হয়তো ১০, ২০ লাখ টাকা। সেখানে কোনো অভিযোগ আসে না, মিডিয়াও আসেনা, প্রমাণও থাকে না। আর যদি প্রমাণও আসে, দুর্নীতি দমন কমিশন এগুলোর প্রমাণ (নথি) পায় না এবং আপনারা ভাবেন যে দুর্নীতি দমন কমিশন দায় মুক্তি দিয়েছে।

চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনে যারা চাকরি করে, তারা ভিন্ন গ্রহ থেকে আসেনি। তারাও ভালো-মন্দ সব জায়গায় আছে। গত দুই বছরে দুদকের ৩০ জন কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। কারও চাকরি গেছে, কাউকে নিচের পদে নামিয়ে দেওয়া সহ বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে এবং কিছু কার্যক্রম চলছে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মনজিল মোর্শেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন, এটিএন নিউজ টিভির প্রধান নির্বাহী সম্পাদক জ. ই মামুন, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামীম হায়দার পাটোয়ারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন প্রমুখ।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর