বৃহঃস্পতিবার, ১লা মে ২০২৫, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের মহান মে দিবস আজ
  • সকল নাগরিকদের জন্য আসলো বড় সুখবর
  • অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন সামান্থা রুথ প্রভু
  • পাকিস্তানের ধাওয়া খেয়ে পিছু হটল ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমান
  • ‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
  • শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন তিন চিকিৎসক
  • বাড়িতে ঢুকে মা-বাবাকে মারধর করে মেয়েকে অপহরণ, গ্রেপ্তার ১
  • পাকিস্তানে ভারত-প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসী আটক, উদ্ধার ড্রোন ও বিস্ফোরক
  • অন্যান্য বছরের চেয়ে ২০২৪ সালের বন্যা ছিল ভিন্ন
  • ‘বুঝতে পেরে চিৎকার শুরু করি’

হাসিনা-মোদী বৈঠক

গঙ্গা চুক্তি নবায়ন নিয়ে আলোচনা করায় বেজায় চটেছে মমতার দল

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
২৩ জুন ২০২৪, ১৬:১৮

দুদিনের সফরে শুক্রবার (২১ জুন) ভারত সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২২ জুন) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন তিনি। সেই বৈঠকে উভয় রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির মেয়াদ নবায়নকরণ নিয়ে আলোচনা হয়। এতে বেজায় চটেছে পশ্চিমবঙ্গে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।

এই চুক্তির জেরে পশ্চিমবঙ্গে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা আরও জোরালো হচ্ছে বলে দাবি তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এক বিবৃতিতে দলটি বলেছে, পশ্চিমবঙ্গকে কিছু না জানিয়ে গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি নবীকরন করা হচ্ছে। আমরা এই চুক্তির অংশ। এছাড়া আগের চুক্তির যে পাওনা সেটাও আমাদের দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। তার ওপরে গঙ্গা ড্রেজিং বন্ধ হয়ে গেছে, যা বন্যা ও গঙ্গা ভাঙনের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী কেন্দ্রীয় সরকারকে একাধিকবার চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে মমতা লেখেন, গঙ্গা ভাঙনের অন্যতম কারণ ফারাক্কা ব্যারেজ। যার জেরে পশ্চিমবঙ্গের বিপুল সম্পদ, কৃষিজমি, মালদহের আম বাগান ও ব্যক্তিগত সম্পত্তির ক্ষতি হচ্ছে।

এদিকে, ২০২৬ সালের মধ্যে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে গঙ্গার পানি চুক্তি হতে যাওয়ার বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ী বলেছেন, জ্যোতি বসুর সরকার যখন গঙ্গা চুক্তি করেছিলেন, তখনও মমতা কিন্তু আপত্তি তুলেছিলেন। কিন্তু তাতে চুক্তি ঠেকানো যায়নি। আর এটা যেহেতু, পুরোনো আন্তর্জাতিক চুক্তি কোনোভাবেই বাতিল করা সম্ভব নয়, তাই আমার মনে হয় ২০২৬ সালের এই চুক্তি নিয়ে মমতা আপত্তি নাও করতে পারেন।

গৌতম লাহিড়ী আরও বলেন, এটা আমার ধারণা যে মমতা ব্যানার্জী অভিজ্ঞ রাজনীতিক। তিনি এটা বুঝবেন যে তিস্তার ক্ষেত্রে শুরুতেই আপত্তি করেছিলেন, কিন্তু গঙ্গা চুক্তির সময় শুরুতে তিনি ছিলেন না। তাই তার এবারের আপত্তি খুব একটা কার্যকর হবে না।

এদিকে, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শেখ হাসিনার একান্ত বৈঠকে আরও বেশকিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনায় বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে, প্রতিরক্ষা, নির্মাণ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, দুই দেশের বাণিজ্য উন্নয়ন ও নদীর পানি বন্টন সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

১৯৯৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট আমলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের গঙ্গা চুক্তি হয়, যার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২৬ সালে। ১৯৯৬ সালের গঙ্গা চুক্তির আর্টিকেল ১২ অনুযায়ী, দুই পক্ষের সম্মতিক্রমে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর কথা।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর