বৃহঃস্পতিবার, ১লা মে ২০২৫, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের মহান মে দিবস আজ
  • উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান: সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে
  • ভারতকে রুখতে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন ইমরান খান
  • সকল নাগরিকদের জন্য আসলো বড় সুখবর
  • অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন সামান্থা রুথ প্রভু
  • পাকিস্তানের ধাওয়া খেয়ে পিছু হটল ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমান
  • ‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
  • শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন তিন চিকিৎসক
  • বাড়িতে ঢুকে মা-বাবাকে মারধর করে মেয়েকে অপহরণ, গ্রেপ্তার ১
  • পাকিস্তানে ভারত-প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসী আটক, উদ্ধার ড্রোন ও বিস্ফোরক

কেন ভালুক হত্যা আইন সহজ করতে চায় জাপান?

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১১ জুলাই ২০২৪, ১৪:০৮

জাপানে ভালুকের আক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় দেশটির সরকার ভালুক হত্যা আইন সহজ করতে চায়। তবে শিকারিরা বলছে, কাজটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বিবিসি বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

জাপানে মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভালুকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ সংখ্যাটি শহরের বাইরে অনেক বেশি। যদিও ভালুকের আক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা কম তবে খুব বিপজ্জনক। দেশটির সরকারি তথ্য অনুসারে, এ বছরের শুরু থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ২১৯টি ভালুকের আক্রমণ হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ছয়টি ঘটনা ছিল মারাত্মক।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত মাসগুলোতে জনবহুল এলাকায় প্রবেশ করে মানুষের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে ভালুক। কেউ কেউ মনে করছে, ভালুকগুলো মানুষকে শিকার হিসেবে দেখে।

জাপানের বর্তমান আইন অনুসারে, পুলিশের অনুমোদনের পরই একজন লাইসেন্সপ্রাপ্ত শিকারি ভালুককে গুলি করতে পারে। সরকার পরবর্তী সংসদ অধিবেশনে আইনটি সংশোধন করার পরিকল্পনা করছে।

ভাল্লুক যদি লোকালয়ে প্রবেশ করে এবং মানুষকে আক্রমণের শঙ্কা থাকে, তাহলে তাকে গুলি করা যাবে। আইনটি সংশোধনে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার আরো সহজ হবে।

হোক্কাইডো হান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিচালক সাতোশি সাইতো বলেন, ‘ভালুকের মুখোমুখি হয়ে তাকে গুলি করে হত্যা করার বিষয়টি বেশ বিপজ্জনক। লক্ষ্যে সঠিকভাবে আঘাত করতে না পারলে, এটি পালিয়ে গিয়ে অন্য লোকদের ওপর আক্রমণ চালাতে পারে।’

জাপানের উত্তরের সবচেয়ে বড় দ্বীপে জনসংখ্যা কম।

কিন্তু সরকারি তথ্য মতে, দ্বীপটিতে ভালুকের সংখ্যা ১৯৯০ সালের পরে দ্বিগুণ হারে বেড়ে গেছে। সেখানে বর্তমানে বাদামি ভালুক রয়েছে প্রায় ১২ হাজার। এই জাতটি কালো ভালুকের চেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর। জাপানের বিশেজ্ঞদের অনুমান অনুসারে কালো ভালুকের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। ভালুকগুলোকে দূরে রাখতে বিভিন্ন কৌশলের চেষ্টা করেছে দেশটির স্থানীয় সরকার।
হোক্কাইডোর নাই শহরে শিকারিদের প্রতিদিন ১০ হাজার ৩০০ ইয়েনের বিনিময়ে ভাড়া করার চেষ্টা করেছে। তারা ভালুক থেকে মানুষদের রক্ষা করতে রাস্তায় টহল দিবে ও ফাঁদ বসাবে। কিন্তু এমন শিকারির সংখ্যা খুবই কম। কারণ, এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ এবং পারিশ্রমিকও কম। এ ছাড়া অধিকাংশ শিকারি বয়স্ক।

এসব অঞ্চলের তরুণরা বড় শহরে চলে যাওয়ায় মানুষের সংখ্যাও কমে গেছে। পুরো শহরই প্রায় ফাঁকা। তাই মানুষকে দেখতে পেলে ভালুকগুলো হিংস্র হয়ে ওঠতে পারে।

শিকারিরা সাধারণত জনবিরল এলাকায় ভালুক শিকার করে থাকে। এ বিষয়ে সাইতো আরো বলেন, ‘আবাসিক এলাকায় ভালুক শিকার করা বেশ কষ্টকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। কারণ গুলি চাললে মানুষ বলবে, গুলি আমাদের আঘাত করতে পারে। আবার গুলি না করলে বলবে, আপনার কাছে শর্টগান থাকার পরও কেন গুলি চলালেন না?’

স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা মামি কন্ডো বলেন, ভালুক জানে কোথায় মানুষ আছে। তারা খাবারের জন্য মানুষদের আক্রমণ করে এবং মানুষকে নিজের খাদ্য হিসেবে মনে করে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর