বৃহঃস্পতিবার, ১লা মে ২০২৫, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের মহান মে দিবস আজ
  • সকল নাগরিকদের জন্য আসলো বড় সুখবর
  • অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন সামান্থা রুথ প্রভু
  • পাকিস্তানের ধাওয়া খেয়ে পিছু হটল ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমান
  • ‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
  • শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন তিন চিকিৎসক
  • বাড়িতে ঢুকে মা-বাবাকে মারধর করে মেয়েকে অপহরণ, গ্রেপ্তার ১
  • পাকিস্তানে ভারত-প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসী আটক, উদ্ধার ড্রোন ও বিস্ফোরক
  • অন্যান্য বছরের চেয়ে ২০২৪ সালের বন্যা ছিল ভিন্ন
  • ‘বুঝতে পেরে চিৎকার শুরু করি’

চাঁদে বড় গুহার খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
১৬ জুলাই ২০২৪, ১৫:৩৮

‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া’, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতাই সত্য হলো আবার। পৃথিবী থেকে বহু দূরে থাকা গ্রহ-নক্ষত্রের খুঁটিনাটি তথ্য দীর্ঘদিন ধরেই জানার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। সেখানে পৃথিবীর খুব কাছে থাকা চাঁদের অনেক রহস্যই এখনো আমাদের অজানা রয়ে গেছে। সম্প্রতি ইতালির একদল বিজ্ঞানী চাঁদে একটি গুহার খোঁজ পেয়েছেন। এই গুহা ভবিষ্যতে মহাকাশচারীদের হোটেল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে বলেও ধারণা করছেন তাঁরা।

৫৫ বছর আগে চাঁদে যাওয়া অ্যাপোলো ১১ নভোযানের অবতরণ স্থলের ৪০০ কিলোমিটার দূরে সি অব ট্রাঙ্কুয়ালিটি নামক স্থানে গুহাটির সন্ধান পাওয়া গেছে। আকারে বেশ বড় হওয়ায় মহাকাশচারীরা সহজেই সেখানে থাকতে পারবেন। চাঁদে বড় গুহার খোঁজ পাওয়ার বিষয়ে ইতালির ট্রেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী লিওনার্দো কেরার ও লরেঞ্জো ব্রুজজোন জানিয়েছেন, চাঁদের বুকে থাকা গুহার তথ্য ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে অজানা রয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত এর অস্তিত্ব প্রমাণ করতে পারা বেশ উত্তেজনাপূর্ণ।

নেচার অ্যাস্ট্রোনমি জার্নালে চাঁদে থাকা গুহা সম্পর্কে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, নাসার লুনার রিকনেসেন্স অরবিটারের রাডার ব্যবহার করে এই গুহার খোঁজ মিলেছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, রাডার থেকে পাওয়া ভূগর্ভস্থ গহ্বরের প্রাথমিক অংশের তথ্য জানা যাচ্ছে। এটি ৪০ থেকে ১০ হাজার মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।

বিজ্ঞানীদের দাবি, চাঁদে শত শত গর্ত ও হাজার হাজার লাভা টিউব থাকতে পারে। আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা উদ্‌গিরণের পরে যে পথে লাভার স্রোত এগিয়ে যায়, সেখানে টিউব বা গুহার মতো পথ তৈরি হয়। এ ধরনের গুহা ও গর্ত মহাকাশচারীদের জন্য প্রাকৃতিক আশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর ফলে নভোচারীরা সহজেই মহাজাগতিক রশ্মি, সৌর বিকিরণ ও মাইক্রোমেটিওরাইট স্ট্রাইক বা গ্রহাণুর আক্রমণের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারবেন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর