বৃহঃস্পতিবার, ১লা মে ২০২৫, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • মুম্বাইয়ে বিশ্বমঞ্চের ঢেউ- প্রিয়াঙ্কার দৃপ্ত বার্তা
  • এক ভূখণ্ড, দুই রাষ্ট্র, অগণিত কান্নার উপত্যকা
  • শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের মহান মে দিবস আজ
  • উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান: সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে
  • ভারতকে রুখতে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন ইমরান খান
  • সকল নাগরিকদের জন্য আসলো বড় সুখবর
  • অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন সামান্থা রুথ প্রভু
  • পাকিস্তানের ধাওয়া খেয়ে পিছু হটল ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমান
  • ‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
  • শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন তিন চিকিৎসক

সাবেক এসবিপ্রধানের কক্ষ থেকে ২৫ কোটি টাকা গায়েব, তদন্ত শুরু

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত:
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১২

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলামের কক্ষ থেকে ২৫ কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়ার ঘটনা তদন্তে পুলিশ সদর দপ্তর তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। পুলিশ সদর দপ্তর স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়নের (এসপিবিএন) ডিআইজি গোলাম কিবরিয়াকে (অতিরিক্ত আইজিপি সুপারনিউমারারি) কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটিকে অবিলম্বে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

কমিটির প্রধান গোলাম কিবরিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, কমিটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কমিটির কাজ হলো এসবির সাবেক প্রধানের কক্ষে সেদিন প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছিল, তা নির্ণয় করা। তদন্ত শেষে কমিটি প্রতিবেদন জমা দেবে।

পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে ব্যয় করার জন্য ৩ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের কাছ থেকে ২৫ কোটি টাকা এনে নিজের কক্ষে রেখেছিলেন এসবিপ্রধান মনিরুল ইসলাম। কিন্তু সেই টাকা বিতরণ করার আগেই ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকারের পতন হয়। ওই দিন থেকে আর অফিসে যাননি মনিরুল। মনিরুলের কক্ষে ২৫ কোটি টাকা থাকার তথ্যটি এসবির কয়েকজন কর্মকর্তা জানতেন। তাঁরা এসবি কার্যালয়ের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা ও ইন্টারনেট বন্ধ রেখে ৬ থেকে ১২ আগস্টের মধ্যে কোনো এক সময়ে মনিরুলের কক্ষ থেকে ওই টাকা সরিয়ে নেন। এর সঙ্গে পুলিশের তৎকালীন একজন ডিআইজি ও একজন অতিরিক্ত ডিআইজি জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে খবর বের হওয়ার পর পুলিশ সদর দপ্তর তদন্ত কমিটি গঠন করে।


পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) এর একটি সূত্র জানায়, গোয়েন্দা সংস্থার জন্য ‘সোর্স মানি’ হিসেবে নেওয়া টাকার হিসাব দিতে হয় না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন-পীড়নের কাজে ব্যয় করার জন্য শেষ সময়ে তৎকালীন সরকারের কাছ থেকে ‘সোর্স মানি’ হিসেবে ২৫ কোটি টাকা পান মনিরুল। পুরো টাকাই তার অফিস কক্ষে রাখা ছিল। ৫ আগস্ট থেকে মনিরুল অফিসে যাননি। এ বিষয়ে এসবির সংশ্লিষ্ট দুই-একজন জানতেন।

জানা গেছে, টাকা সরিয়ে নেওয়ার সময় তারা গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট আছে উল্লেখ করে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরপরই এসবিপ্রধানের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন। ৬ আগস্ট কৌশলে এসবি কার্যালয়ের সব সিসি ক্যামেরা বন্ধ করা হয়।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর