প্রকাশিত:
৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:১৪
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারে বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে সহায়তা কার্যক্রম। এতে প্রাণে রক্ষা পাওয়া মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
জাতিসংঘের সহায়তা বিভাগের প্রধান বলেছেন, বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য আরও আশ্রয়স্থলের প্রয়োজন।
২৮শে মার্চ মধ্যদুপুরে প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি অঞ্চল।
এতে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৭১ জন নিহত এবং ৪ হাজার ৬৭১ জন আহত হয়েছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এখনো ২১৪ জন নিখোঁজ রয়েছে। তারা বেঁচে আছে কিনা তা নিশ্চিত নয়। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এতে বলা হয়, সহায়তাকারী সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে যে, অসময়ে বৃষ্টিপাত এবং অতিরিক্ত গরমে কলেরাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। বিশেষ করে ভূমিকম্পে আহত ব্যক্তিরা ভয়াবহ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে।
জাতিসংঘের সহায়তা বিভাগের প্রধান টম ফ্লেচার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া লোকজন এখনো রাস্তায় দিনাতিপাত করছেন। তাদের আশ্রয়ের জন্য এখনো প্রচুর তাঁবুর প্রয়োজন।
এক্সের এক পোস্টে এসব কথা জানান তিনি। সেখানে টম ফ্লেচার আরও বলেন, বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য আমাদের আরও তাঁবুর প্রয়োজন। এর মাধ্যমে তাদের জীবনে আশা সঞ্চার করা প্রয়োজন যেন তারা পুনরায় জীবন শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত জীবন বাঁচাতে সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।
মিয়ানমারে ২ কোটি ৮০ লাখ মানুষের বসবাস। দেশটির প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে চীন, ভারত ও বাংলাদেশ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গেও মিয়ানমারের স্থল সীমানা রয়েছে। যদিও ভূমিকম্প-কবলিত এলাকায় ত্রাণ পাঠিয়েছে এসব দেশ।
তবে তা যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি মিয়ানমারের ভয়াবহ এই ট্র্যাজিক সময়ের জন্য আরও সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে। এখন পর্যন্ত সহায়তার শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মিয়ানমারের জন্য ৯০ লাখ ডলার সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশটি।
তবে বিদেশি সহায়তা বন্ধ করে দেয়ায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা। ২০২১ সাল থেকে গৃহযুদ্ধের মধ্যে রয়েছে মিয়ানমার। এর মধ্যেই ভূমিকম্পের এমন ভয়াবহ আঘাতে বেশ বেকায়দায় পড়েছে দেশটির সামরিক সরকার।
তাদের কাছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর পক্ষে দুই সপ্তাহের একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব হলেও তা প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে জান্তা প্রধান। ফলত দেশটির সমস্যা আরও ঘনীভূত হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
মন্তব্য করুন: