প্রকাশিত:
১০ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০০
বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতনের’ ঘটনাগুলো কেবল রাজনৈতিক কারণে ঘটছে বা সেগুলো গণমাধ্যমের অতিরঞ্জন বলে আড়াল করা যাবে না বলে জানিয়েছে ভারত। গতকাল বুধবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।
সম্প্রতি ব্যাংককে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক, প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিবের ফেসবুক স্ট্যাটাস, চীন সফরকালে ড. ইউনূসের বক্তব্য, ভারতের বন্দর ব্যবহার করে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের তৃতীয় দেশে বাণিজ্যের সুবিধা বাতিল নিয়ে ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ২০২০ সাল থেকে বাংলাদেশকে ভারতের বন্দর ব্যবহার করে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের তৃতীয় দেশে বাণিজ্যের সুবিধা দেওয়া হয়েছিল।
এর ফলে ভারতের বিমানবন্দর এবং সমুদ্রবন্দরগুলোতে দীর্ঘ সময় ধরে উল্লেখযোগ্য যানজট তৈরি হচ্ছে। লজিস্টিক পাঠাতে বিলম্ব এবং উচ্চ ব্যয় ভারতের নিজস্ব রপ্তানিকে বাধাগ্রস্ত করছে। তাই গত মঙ্গলবার এই সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। মুখপাত্র বলেন, ভারতের বন্দর ব্যবহার করে নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের রপ্তানির ওপর এটি প্রভাব ফেলবে না।
এদিকে ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ বা ফেরত পাঠানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রণধীর জয়সোয়াল জানান, এ বিষয়ে তিনি আগে যা বলেছিলেন এর বাইরে নতুন কিছু বলার নেই।
উল্লেখ্য, রণধীর জয়সোয়াল এর আগের ব্রিফিংগুলোতে বলেছেন, নিরাপত্তার কারণে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করছেন। তাঁকে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশের একটি কূটনৈতিক বার্তা ভারত পেয়েছে।
ব্যাংককে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যে জবাব দেওয়া হয়েছে তাতে ভারত সন্তুষ্ট কি না—এ প্রশ্নের উত্তরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ভারত বাংলাদেশ সরকারকে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট ব্যবস্থা নিতে বলেছে। ভারত জোর দিয়ে বলেছে, সব নাগরিকের সুরক্ষা এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব বাংলাদেশের।
এদিকে ‘চিকেন নেক’ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলে এমন বিষয়গুলোর ওপর নিবিড়ভাবে নজর রাখছে ভারত।
মন্তব্য করুন: