প্রকাশিত:
১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৩:৪০
পটুয়াখালীর দুমকিতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ধর্ষককে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এমন অভিযোগ করেছে ধর্ষিতার পরিবার। জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বেরাচ্ছে বাদীর পরিবার।
জানা গেছে, পটুয়াখালীর দুমকিতে প্রবাসীর স্ত্রীর (২৯) এর সাথে প্রতারণার জালে আটকিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে মামলার আসামী সাদ্দাম হোসেন। সে সম্পর্কেও ধারাবাহিকতায় এক সময় প্রবাসী স্বামীকে তালাক দিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখায়। এতে প্রলুব্ধ হয়ে শামীমা সুলতানা দুই সন্তান ও গৃহত্যাগ করে আসামীর সাথে কয়েকমাস ঘরসংসার করে। কিন্তু একটি পর্যায়ে বাদীর টাকা পয়সা এবং স্বর্ণাল্কংার আত্মসাৎ করে আসামী। আর শহরের ভাড়া বাসায় তাকে ফেলে রেখে পালিযে যায়। এ ঘটনায় পরবর্তিতে পটুয়াখালী থানা মামলা করে ভুক্তভোগী নারী। মামলা নং ৬১, তারিখ ২৯ মার্চ ২০২৫।
মামলা করার পর থেকে স্থাণীয় বিএনপি ও যুবদল নেতাদের কয়েকজন বাদীর পরিবারকে মামলা তুলে না নিলে জানে মেরে ফেলার হুমকীর অভিযোগ করেছে বাদীর পরিবার। এ দিকে মামলা হলেও এখন পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেফতার করেনি থানা পুলিশ। বাদীর অভিযোগ বিএনপি ও যুবদল নেতার প্রশয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে আসামী। নেতাদের প্রশ্রয়ের কারণে থানা পুলিশও মামলার আসামীকে ধরতে গড়িমসি করছে। এতে বাদী তার দুই সন্তান ও পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায়র মধ্যে আছেন।
এ বিষয়ে জানতে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানের সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি জানান, মামলার আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে নতুন করে বাদীকে হুমকী দেয়া হচ্ছে এমন কোন অভিযোগ তার জানা নেই।
পরবর্তীতে এ নিয়ে সামাজিক ভাবে বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নিলেও মামলার অনান্য আসামীরা বিশেষ করে দুমকি উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. জসিম উদ্দিন, দুমকি উপজেলা বিএনপির ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম হাওলাদার ও দুমকি উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম সর্দারসহ বেশ কয়েকজন সালিশ বৈঠকের নামে একটি ঘরে ওই গৃহবধূকে আটকে সেখানে তাকে মারধর করে এবং যৌন নির্যাতনের হুমকি প্রদান করে।
ভূক্তভোগী নারী জানান, তার দুটি সন্তান আছে, তাদের নিয়ে এখন বাহিরে বের হতে পারছেনা, বিশেষ করে তাদের স্কুলে নিয়ে যেতে তিনি ভয় পাচ্ছেন। এ ছাড়া মামলা তুলে না নিলে তাদের কে দুনিয়া ছাড়া করার কথাও বলা হচ্ছে। এছাড়া সামাজিক ভাবে তাদের হেয় প্রতিপন্ন করতেও বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
মন্তব্য করুন: