বৃহঃস্পতিবার, ১লা মে ২০২৫, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ২০২৬ নারী বিশ্বকাপের সময়সূচি ও ভেন্যুর নাম ঘোষণা
  • মুম্বাইয়ে বিশ্বমঞ্চের ঢেউ- প্রিয়াঙ্কার দৃপ্ত বার্তা
  • এক ভূখণ্ড, দুই রাষ্ট্র, অগণিত কান্নার উপত্যকা
  • শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের মহান মে দিবস আজ
  • উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান: সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে
  • ভারতকে রুখতে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন ইমরান খান
  • সকল নাগরিকদের জন্য আসলো বড় সুখবর
  • অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন সামান্থা রুথ প্রভু
  • পাকিস্তানের ধাওয়া খেয়ে পিছু হটল ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমান
  • ‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার

আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি নিয়ে বিশ্বজুড়ে দেশগুলোর প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি চীনের

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
২১ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৭

দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় বসেই চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুই দেশের পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপে অস্থির হয়ে উঠেছে বিশ্ব বাজার।

এরই মধ্যে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে বিশ্বজুড়ে দেশগুলোর প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করল চীন। বৈশ্বিক পরাশক্তি এই এশীয় দেশটি বলেছে— কেউ যেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন কোনও বাণিজ্য চুক্তিতে না যায় যা চীনের স্বার্থের ক্ষতি করে।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্যযুদ্ধ যখন নতুন মাত্রা নিচ্ছে, ঠিক তখনই এমন বক্তব্য দিল বেইজিং।

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, “চীন বিশ্বাস করে, সব দেশই সমতার ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিজেদের বাণিজ্য বিরোধ নিয়ে আলোচনা করে সমাধান করতে পারে। কিন্তু কেউ যদি চীনের ক্ষতি করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করে, তাহলে আমরা দৃঢ়ভাবে তার বিরোধিতা করব।”

তিনি আরও বলেন, যদি কোনও দেশ এমন পদক্ষেপ নেয়, চীন তখন ‘সঠিক এবং সমুচিত প্রতিক্রিয়া’ জানাবে।

চীনের কাছ থেকে এই হুঁশিয়ারি এসেছে এমন এক সময় যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন চেষ্টা করছে—যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুল্ক ছাড় বা ছাড়পত্র চাইছে, তাদের যেন চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সীমিত করতে চাপ দেওয়া হয়।

চীনের বক্তব্য, যুক্তরাষ্ট্র ‘সমতা’র অজুহাতে একতরফাভাবে সব দেশের ওপর শুল্ক চাপিয়েছে এবং এখন সেসব দেশকে বাধ্য করছে তথাকথিত ‘পারস্পরিক শুল্ক’ আলোচনায় অংশ নিতে। চীন বলেছে, তারা নিজের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় দৃঢ় এবং যথেষ্ট সক্ষম। সেইসঙ্গে বেইজিং চায় অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে।

ইতোমধ্যে প্রায় ৫০টি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাড়তি শুল্ক নিয়ে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছে। জাপান যেখানে সয়াবিন ও চালের আমদানি বাড়ানোর কথা ভাবছে, সেখানে ইন্দোনেশিয়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে খাদ্যপণ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস আমদানি বাড়িয়ে অন্য দেশ থেকে পণ্য কেনা কমানোর পরিকল্পনা করছে।

ট্রাম্প গত ২ এপ্রিল বহু দেশের ওপর আরোপ করা ঐতিহাসিক শুল্কের ঘোষণা স্থগিত করলেও, চীনের ওপর সেই শুল্ক বহাল রেখেছেন। চীনকেই মূল লক্ষ্য করে সবচেয়ে বড় কর আরোপ করেছেন তিনি।

এরই মধ্যে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তিনটি দেশে সফর করেছেন, যার মূল লক্ষ্য ছিল—আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদার করা এবং অংশীদার দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা বাণিজ্যনীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার করা।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর