বৃহঃস্পতিবার, ১লা মে ২০২৫, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের মহান মে দিবস আজ
  • সকল নাগরিকদের জন্য আসলো বড় সুখবর
  • অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন সামান্থা রুথ প্রভু
  • পাকিস্তানের ধাওয়া খেয়ে পিছু হটল ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমান
  • ‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
  • শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন তিন চিকিৎসক
  • বাড়িতে ঢুকে মা-বাবাকে মারধর করে মেয়েকে অপহরণ, গ্রেপ্তার ১
  • পাকিস্তানে ভারত-প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসী আটক, উদ্ধার ড্রোন ও বিস্ফোরক
  • অন্যান্য বছরের চেয়ে ২০২৪ সালের বন্যা ছিল ভিন্ন
  • ‘বুঝতে পেরে চিৎকার শুরু করি’

যুদ্ধ নয়, যুদ্ধের ভান ধরছে ভারত

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত:
২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩৫

জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার ভারতের করপোরেট টিভি চ্যানেলগুলোতে যুদ্ধের দামামা বাজিয়েছে। বিজেপির কণ্ঠের প্রতিধ্বনি স্পন্দিত হচ্ছে ওই সব মিডিয়ার প্রতিবেদনে। কিন্তু অনলাইন পোর্টালগুলোতেও শান্ত থাকার কথা বলা হয়েছে।

পাকিস্তানের অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘ডন’ এ খবর দিয়ে লিখেছে, শুক্রবার একজন অভিজ্ঞ ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক পেহেলগাঁও ট্র্যাজেডি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কেন কোনও উত্তপ্ত যুদ্ধ হতে পারে না তার যুক্তিসঙ্গত কারণ তুলে ধরেছে। তবে রাজনৈতিক ফায়দা লাভের জন্য যুদ্ধ করার ভান করা হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর বিদ্যমান যুদ্ধবিরতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। উভয় পক্ষ থেকে আবারও গোলাগুলি শুরু হতে পারে। এতে সীমান্তবর্তী স্থানীয় কৃষকদের শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে।

দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক শান্তির দৃষ্টিকোণ থেকে যুক্তিসঙ্গত এমন সব কথা যারা বলেছেন তার মধ্যে অন্যতম ভারতীয় সাবেক সেনা কর্মকর্তা এবং প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক প্রবীণ সাহনি। যুদ্ধ হতে পারে না- এ বিষয়টি মূল্যায়নের জন্য তিনি বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে প্রধান হলো চীন।

সাহনি বলেন, ২০১৯ সালের আগস্টে ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা বিতর্কিতভাবে পরিবর্তন পাকিস্তানের চেয়ে চীনকে বেশি বিরক্ত করেছে।

২০২০ সালের এপ্রিলে ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে গালওয়ান সহিংসতা ছিল এরই একটি অংশ। চীন সীমান্তে অনেক বেশি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে- উল্লেখ করে সাহনি বলেন, ভারতের পক্ষে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না। কিন্তু তার মানে এই নয় যে যুদ্ধের ঢাক খুব শিগগিরই বন্ধ হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এমন একজন ভারতীয় নেতা, যিনি যুদ্ধের ভান করায় বিশ্বাস করেন। কারণ এটি তার রাজনীতির সাথে খাপ খায়।

ডন আরও লিখেছে, নিউজ পোর্টালগুলো উল্লেখ করেছে, মোদী বৃহস্পতিবার বিহারে একটি নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন। তিনি বিরোধী দলগুলোর সাথে বৈঠকে যোগ দেননি- যেখানে সরকার প্রথমবারের মতো গোয়েন্দা ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর